কলাপাড়ায় আশ্রায়ণ প্রকল্পের আওতায় আবাসন গুলোর আধিকাংশই বসবাসের অনুপযোগী, বি-নির্মানের অভাবে ধ্বংসস্তুবে পরিনত,বেশির ভাগ আবাসন গুলো বন্যানিয়ন্ত্রণ বাধেঁর বাহিরে অবস্থান হওয়ায় অতিরিক্ত লবনাক্ত জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গিয়ে এবং ঘন ঘন জলচ্ছাস ও ঘূর্ণিঝড়ে আবাসন গুলোর ক্ষতির প্রধান কারণ।
সরকার অসহায় মানুষ দের মাথাগোজার ঠাই করে দিলেও,বেশ কিছু আবাসন গুলোর দশ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে কাজের উৎস না থাকায় অনেকেই আবাসন গুলো ফেলে কাজের সন্ধানে পারি জমায় অন্যত্র।উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নে ছোট বড় মোট ৬ টি আবাসন রয়েছে,নীলগঞ্জ,ফতেপুর,পাখিমারা,হাজীপুর,হাকিমপুর ও সদরপুর আশ্রায়ণ কেন্দ্র। নীলগঞ্জ ও পাখিমারায় বেশ কিছু মানুষ বসবাস করে।হাজীপুর,হাকিমপুর ও সদরপুরের আশ্রায়ণ কেন্দ্র গুলো বসবাসের অনুপযোগী। এই সব আশ্রায়ণ কেন্দ্র গুলোতে ২৮০ জন নিরন্ন মানুষ দের মাথা গোজার কথা থাকলেও অধিকাংশই নানা কারনে বসবাস করছেন না।
নীলগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাড.নাসির উদ্দিন মাহমুদ জানান, বেড়িবাধের বাহিরে আশ্রায়ণ গুলো করায় লবনাক্ত জোয়ারের পানিতে ডুবে গিয়ে ক্ষতি গ্রস্থ হয়। এবং বেশ কিছু পরিবার বসবাস করতে পারছে না। মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নে আবাসন রয়েছে ছোট বড় ৫ টি মেলাপাড়া,চরপাড়া,সাফাখালী,গোলবুনিয়া ও ইসলামপুর আশ্রায়ণ কেন্দ্র।
এ গুলোতে ১৩০ পরিবার বসবাস করার কথা রয়েছে। নানা কারনে ও বসবাসের অনুপযোগী হয়ে অনেকেই আশ্রায়ণ গুলো ছেড়েছেন। এ রকম টিয়াখালী,ধুলাসার,বালিয়াতলী,মহিপুর,লতাচাপলি,চম্পাপুর, ধানখালী, লালুয়া, চাকামইয়া ও ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন সমুহে প্রায় দেড় হাজার পরিবারের বসবাসের জন্য সরকার আবাসন গুলো গড়ে তুলেন। বসবাসের অনুপযোগী হয়ে অর্ধেক পরিবারই থাকছেন না আবাসন গুলোতে।
চুরি হয়ে গেছে অনেক আশ্রায়ণ কেন্দ্রের ঘড়ের টিন ও মূল্যবান জিনিস পত্র।এব্যাপারে কথা হয় কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক এর সাথে, তিনি জানান, আবাসন গুলোর অধিকাংশ ক্ষতিগ্রস্থ অবস্থায় রয়েছে। অচিরেই সরেজমিনে আশ্রায়ণ গুলো পরির্দশন করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করব।